টেনশন নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস

টেনশন নিয়ে যদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের উক্তি বা স্ট্যাটাস প্রদান করেন তাহলে হয়তো সেটা আপনার মানসিক কমালেও কমাতে পারে। তবে নিজের টেনশন অথবা নিজের দুর্বলতা অথবা নিজের খারাপ লাগা বর্তমান সময়ে অন্য মানুষের কাছে প্রকাশ করে সেটা তাদের সুযোগ করে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে করে মানুষ আপনার সমালোচনা করতে পারবে এবং আপনি আসলে কেমন প্রকৃতির মানুষেরা সম্পর্কে খুব সহজেই নেতিবাচক ধারণা আনতে পারবে। তারপরও আপনারা যারা টেনশন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি স্ট্যাটাস হিসেবে প্রদান করতে চাচ্ছেন তারা এখান থেকে তা দেখে নিতে পারেন।

টেনশন হয়ে থাকলে আমাদের খুব খারাপ লাগে এবং টেনশন হওয়ার কারণে আমরা ভাবতে ভাবতে এতটাই খারাপ ভাবনার জগতে চলে যায় যেটা আমাদের মানসিকভাবে অসুস্থ করে দেয়। কোন একটা সুন্দর বিষয় নিয়ে ভাবতে থাকেন দেখেন যে আপনার মন আস্তে আস্তে ভালো হতে শুরু করেছে এবং আপনার এই ভাবনাগুলো পজিটিভ হওয়ার কারণে আপনি মানসিক ভাবে এক অন্য ধরনের আনন্দবোধ করছেন। কিন্তু আপনি যখন সে বিষয় টেনশন করবেন তখন সেটা আপনাকে আস্তে আস্তে খারাপ এবং মন খারাপ এতটাই হবে যে কোন কিছু করতে ভালো লাগবে না।

তাই আপনি মনের দিক থেকে যতটা ভালো থাকতে পারবেন অথবা টেনশন মুক্ত থাকতে পারবেন ততটাই আপনি সুস্থ মানুষ। বর্তমান সময়ে এই প্রতিযোগিতার যোগে প্রত্যেকটি মানুষ কমবেশি টেনশনের মধ্য দিয়ে পতিত হচ্ছে। এই টেনশন করে থাকলে অবশ্যই সে বিষয়ে টেনশন না করার জন্য যে সকল পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করতে হবে। টাকা পয়সা বা ক্যারিয়ার বা বিয়ে বা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনারা যখন টেনশন করবেন তখন এ সকল ফয়সালা আপনার সৃষ্টিকর্তার উপরে ছেড়ে দিবেন।

অর্থাৎ যে সকল বিষয় নিয়ে টেনশন করেন, যে বিষয় নিয়ে টেনশন করার ফলে কোন উপকার হচ্ছে না তাহলে সেগুলো নিয়ে করে আপনি কি করবেন। এক্ষেত্রে টেনশন করার পরিবর্তে আপনারা যদি সে বিষয়ে পরিকল্পনা করেন এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য চিন্তা না করে অধিক পরিমাণে পরিশ্রম করার মানসিকতা রাখতে পারেন তাহলে আপনার এই টেনশন কমে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাবে। সুতরাং দৈনন্দিন জীবনে টেনশন করলে আপনার কাছেই সেটা খারাপ পর্যায়ে থাকবে এবং আপনি এটাতে অসুস্থ হয়ে যাবেন। তাই টেনশন না করে কাজের প্রতি আপনারা মনোযোগী হয়ে উঠুন এবং স্ট্যাটাস প্রদান না করে নিজের মনের দুঃখগুলো নিজের ভেতরে রাখার চেষ্টা করুন।

মানসিক চিন্তা নিয়ে উক্তি

মানসিক চিন্তা আসবে এবং আপনি যত বড় হচ্ছেন ততটাই আপনার ভেতরে মানসিক চিন্তা গুলো আসতে থাকবে এবং যেতে থাকবে। জীবনে যত বেশি ধৈর্যশীল হতে পারবে এবং প্রত্যেকটি পরিস্থিতি যতটা সহজ ভাবে নিজের শিখবেন ঠিক ততটাই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে অথবা সব সময় আপনাদের ভেতরে যে নেতিবাচক ধারণাগুলো ভর করে থাকে সেগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সেলফ মটিভেশন বই পড়তে পারেন। তাহলে এখান থেকে আপনারা হয়তো অনেক উপকার পাবেন।

মানসিক চাপ নিয়ে উক্তি

মানসিক চাপ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি কিন্তু রয়েছে এবং বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ এ সকল উক্তি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের প্রদান করে গিয়েছেন। তাই মানসিক চাপ নিয়ে উক্তি পড়লে আপনারা হয়তো এখান থেকে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই উক্তি খুব ভালো কাজ করবেন। এটা সত্য যে প্রত্যেকটা মানুষ ভেঙ্গে পড়লে কেউ একজন তাকে এসে সান্তনা দিক অথবা কেউ একজন তাকে এসে বোঝাক এমনটাই চাই। আর এই ক্ষেত্রে মানসিক চাপ নিয়ে উক্তিগুলো করলে আপনারা অনেকটাই নিজেদের সেলফ মোটিভেটেড করতে পারবেন।

মানসিক অশান্তি নিয়ে উক্তি

  • মানুষ যতদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে ততদিন তাদের মনে কিছু না কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা লেগে থাকবে, কেননা আমাদের বাস্তব জীবনে সবকিছু সঠিক কখনোই হয় না, এমন কিছু থাকবেই যা নিয়ে মাথায় টেনশন থাকে। 
  • মানুষের সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি হল মানসিক শান্তি, তবে দুশ্চিন্তা অনেক সময় এই শান্তি ভঙ্গ করে দেয়, যার ফলে মানুষ মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
  • আমার টেনশন আমি নিজেই দূর করবো, নিজের মানসিক শান্তি আমায় নিজেই খুঁজে নিতে হবে, কারণ খারাপ সময়ে আমার পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ নেই।

মানসিক অশান্তি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি পড়ার মধ্য দিয়ে আপনারা নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পারেন। পৃথিবীতে কিছু সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকলেও অধিকাংশ সমস্যাই কিন্তু ক্ষণস্থায়ী হয়ে থাকে। বুদ্ধিমত্তার মধ্য দিয়ে এবং নিজেদের উপস্থিত বুদ্ধির ভেতর দিয়ে আমরা যদি প্রত্যেকটা বিষয়ে মোকাবেলা করার চেষ্টা করি তাহলে কিন্তু এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়। তাই মানসিক অশান্তি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি এবং মানসিক চাপ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের টেনশন না করে নিজের কাজে মনোযোগী হন।

Leave a Comment