আল্লাহর ৯৯ নামের ছবি এখানে প্রদান করা হলো এবং সেগুলোর অর্থ সহকারে জানতে চাইলে এখানকার তথ্য গুলো দেখতে পারেন। মহান আল্লাহ পাকের যে ৯৯ টি নাম রয়েছে সেই প্রত্যেকটি নামের যে অর্থ রয়েছে সেই অর্থগুলোতে তিনি গুণান্বিত। তাছাড়া এ সকল নামগুলো তাঁর এই সকল গুণের কারণে রাখা হয়েছে বলে তিনি আমাদের বাস্তব জীবনে আসলেই সেই সকল গুণের প্রকাশ। এই পৃথিবীর বুকে তিনি আমাদের যেমন সৃষ্টি করেছেন তেমনি একটা নির্দিষ্ট হায়াতের পরে এই পৃথিবী থেকে আমাদের বিদায় নিয়ে তাঁর কাছেই চলে যেতে হবে।
আল্লাহ পাকের এ সকল গুণান্বিত নাম অথবা মহিমান্বিত নাম ধরে যদি কোন বান্দা ডেকে থাকেন এবং কোন কিছু চেয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহ পাক এতটাই খুশি হন যে তিনি সেই বান্দাকে সেই সকল হালাল জিনিস দিতে কুন্ঠাবোধ করেন না। তাছাড়া বান্দা হাত তুললেই আল্লাহপাক অবশ্যই সেই দোয়ার বদৌলতে ভাগ্য পরিবর্তন করার পাশাপাশি অনেক সময় বান্দার মনের চাহিদাগুলো পূরণ করে থাকেন। তাছাড়া আল্লাহ পাক এটা অন্তত জানেন যে একজন বান্দার জীবনে যা কল্যাণকর সেগুলোই প্রদান করা হয়।
তাই মহান আল্লাহ পাক এই দুনিয়ার জীবনে আমাদেরকে সৃষ্টি থেকে শুরু করে লালন পালনের দায়িত্ব যেমন গ্রহণ করেছেন তেমনিভাবে প্রত্যেকটি প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তিনি আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখেন। আপনারা হয়তো অনেক সময় মনে করে থাকবেন যে আল্লাহ পাকের কাছে আমরা এ সকল পাচ্ছি একমাত্র তাঁর ইবাদত বন্দে পালন করার জন্য। কিন্তু এ সকল ইবাদত-বন্দেগী তাঁর প্রদান করা বিভিন্ন ধরনের বিষয় চাইতে খুবই তুচ্ছ। একমাত্র আল্লাহ পাকের রহমত আছে বলে আমরা এই দুনিয়ার বুকে বেঁচে আছি এবং তিনি আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সকল ধরনের উপাদান প্রদান করছেন বলে আমরা বিচরণ করতে পারছি।
মোনাজাতে যখন আল্লাহ পাকের কাছে কোন কিছু চাইবেন তখন মোনাজাতের প্রথম অংশে অবশ্যই আল্লাহ পাকের এই সকল মহিমান্বিত এবং গুণান্বিত নাম গুলো ধরে বারবার ডাকবেন। দুনিয়ার জীবনে আপনার যদি রিজিক নিয়ে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ পাকের রিজিক সংক্রান্ত যে নাম রয়েছে সেটা ধরে বারবার ডাকুন। অর্থাৎ আপনার যে সমস্যা রয়েছে সেই সমস্যা গুলো ধরে ডাকলে অথবা মহিমান্বিত নামগুলো ধরে ডাকলে তিনি অবশ্যই আপনার ডাকে সাড়া দিবেন।
আল্লাহপাক সব সময় চান যে তার বান্দা যদি তাঁর কাছে হাত তুলে খাস দিলে কোন কিছু চাই তাহলে তিনি ফিরিয়ে দেবেন না। কারণ বান্দা যখন একাগুলো চেপে তাঁর কাছে কোন কিছু চাইবে তখন তিনি সেই খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জা বোধ করেন। তাই দুনিয়ার জীবনে আপনার যদি রিজিক নিয়ে সমস্যা হয় অথবা দুনিয়ার জীবনে আপনার যদি সুস্থতা নিয়ে সমস্যা হয় অথবা দুনিয়ার জীবনে যদি আপনার নেককার স্ত্রী না থাকে তাহলে সকল সমস্যার সমাধান আল্লাহপাকের কাছে চাইতে পারেন। অর্থাৎ আল্লাহ পাকের কাছে যখন আমরা দু ফোঁটা চোখের পানি বের করে মন থেকে চাইবো তখন অবশ্যই তিনি আমাদেরকে দিবেন।
![](https://i0.wp.com/theshahriar.com/wp-content/uploads/2023/07/493f2e6b45b7b712f5f1bbde8df08882.jpg?resize=750%2C405&quality=100&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/theshahriar.com/wp-content/uploads/2023/07/allah-vector-arabic-calligraphy.jpg?resize=635%2C380&quality=100&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/theshahriar.com/wp-content/uploads/2023/07/Asmaul-Hosna-a4.jpg?resize=900%2C636&quality=100&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/theshahriar.com/wp-content/uploads/2023/07/image_downloader_1659519937912.jpg?resize=451%2C338&quality=100&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/theshahriar.com/wp-content/uploads/2023/07/NatunNakib-1538799334-cb046b0_xlarge.jpg?resize=450%2C270&quality=100&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/theshahriar.com/wp-content/uploads/2023/07/thistimebd-name-of-Allah-islam-news.jpg?resize=900%2C509&quality=100&ssl=1)
তবে দোয়া নিয়মিতভাবে করতে হবে এবং দোয়া করার ক্ষেত্রে এই সকল মহিমান্বিত নাম গুলো ব্যবহার করতে হবে। দোয়া করতে করতে তা পূরণ হচ্ছে না বলে কেউ অধৈর্য হবেন না। কারণ আল্লাহপাক প্রত্যেকটা জিনিস একটা নির্দিষ্ট সময় প্রদান করেন এবং তা যখন প্রদান করা হবে তার ঠিক আগেও প্রদান করবেন না অথবা পরেও প্রদান করবেন না। তাই ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ পাকের কাছে চাইলে অবশ্যই তিনি উত্তম প্রতিদান আমাদের জীবনে দান করবেন।
তবে যাই হোক আল্লাহ পাকের কথা স্মরণ করার উদ্দেশ্যে আমরা এ সকল নামগুলো যদি মনে রাখি এবং রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে সকল নামগুলো যদি আমরা মনে মনে জিকির করতে থাকি তাহলে অবশ্যই আল্লাহপাক আমাদের প্রতি আরো খুশি হবেন। তাই ছোট্ট এই দুনিয়ায় এবং দুই দিনের এই দুনিয়ায় আমরা সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ পাকের কথা স্মরণ করব এবং আল্লাহপাক যে সকল পথে আমাদের চলতে বলেছেন সে সকল পথে চলবো।