কোন ওটস ভালো

ওটস হচ্ছে এমন একটি খাবার যার মাধ্যমে শরীর সতেজ থাকে এবং সকালের নাস্তা যদি ওরস খাওয়া হয় তাহলে সারাদিন আর খিদে পায় না। এটি একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। নাস্তাই ওটস খাওয়াটা খুবই বেশি জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত মানুষরাও কিন্তু রাস্তায় ওটস খেতে পারে। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ওটস পাওয়া যায়। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো কোন কোম্পানির ওরসগুলো সবচেয়ে ভালো।

এছাড়াও সরাসরি যেই ওটস পাওয়া যায় সেটা কিন্তু সবচাইতে ভালো।ওট হল একটি খাদ্যশস্য যা মূলত ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভাল ফলন হয়। এটা পশুখাদ্য হিসেবে ব্যাপক ব্যবহৃত হলেও মানুষের সাস্থ্যের জন্যও যথেষ্ট উপকারী একটা শস্য। ওটস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্বুস্বাদু এবং পুষ্টিকর বিস্কুট, ব্রেড এবং কেক তৈরি হয়। এটি গম, যব এবং পায়রা জাতীয় উদ্ভিদ শস্য।

আমরা সবাই জানি যে, আমাদের সকলের কাছেই সকালের নাস্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা রাতের পর আবার সকালেই প্রথম খাবার খেয়ে থাকি এর মধ্যে অনেকটাই সময়ের ব্যবধান, আর এই সময়ের মধ্যে আমরা কোনোরকমের খাবারই আমাদের শরীরে দিই না। তাই সবসময় আমরা সকালের নাস্তায় এমন কিছু খাবার খেতে চাই যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো সাথে খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়।

ওটস আপনি চটজলদি বানাতেও পারবেন সাথে এর মধ্যে থাকা ফুড মেডিসিন আপনার মুডকেও ভালো রাখবে।যদি আপনি রোজ ওটস ডালিয়া মানে ওটসমিল নিয়ে থাকেন তাহলে কিছু দিনের মধ্যেই আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ও গর্ভের বাচ্চার জন্য ওটস একটি পুষ্টিকর খাদ্য যা খুব তাড়াতাড়ি হজমও হয়ে যায়।

ওটসের মধ্যে থাকা পুষ্টিকর তত্ত্ব আপনার খাবারের ক্যালোরির মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।আমরা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবো যে আমরা যদি কম ক্যালোরির খাবার দিনে বেশিরভাগ সময় খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের খুব তাড়াতাড়ি খিদেও পেয়ে যায়, কিন্তু ওটমিল এমন একটা খাবার যা নেওয়ার ফলে আমাদের পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভরা থাকে।

আর এই জন্য যদি আমরা মাঝে মাঝে অল্প অল্প খেতে থাকি তাহলে আমাদের পেটও ভরে থাকে সাথে ওজনও বেশি বাড়তে পারে না। আরো সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এই যে ওটস সহজপাচ্য। এই সব কারণ যদি আমার একটু বিবেচনা করে দেখি তাহলে সহজেই বুঝতে পারবো যে আমাদের আজকের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে মেদবর্জিত সুস্থ থাকতে ওটস সব থেকে সঠিক খাবার বা বলা ভালো জলখাবার বা নাস্তা।

সকালে আমরা গরম দুধের সঙ্গে অথবা গরম জলের সঙ্গে ভিজিয়ে এই ওটস খেতে পারি। এটা খাওয়া খুবই উপকারী।
ওটস ওজন কম করার সাথে সাথে রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। একই সাথে ওটসের মধ্যে থাকা ফাইবার ইনসুলিনের মাত্রাকে সঠিক রাখতে সাহায্য করে। এই জন্য একটু বয়স্ক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওটস খাওয়া অত্যন্ত লাভদায়ক।

ওটসে ফাইবারের মাত্রা অনেকটা পরিমাণে থাকাতে আমরা যদি সকালে ওটস খেতে পারি তাহলে গোটা দিন আমাদের পেট ভর্তি থাকে যার ফলে আর ভারী কোনো খাবার খাওয়ার আমাদের প্রয়োজন হয় না।তাই যারা পুষ্টি সঠিক রেখে নিজেদের ওজন কম করতে চাইছেন তাদের জন্য ওটস একটি সঠিক পুষ্টিকর খাবার।

আজকাল আমরা সব থেকে বেশি সমস্যায় থাকি আমাদের কনস্টিপেশন সমস্যা নিয়ে। এর কারণ হলো আমাদেরআমাদের অনিয়মিত জীবনযাপন আর সাথে সঠিক খাবার না খাওয়া, কিন্তু আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে যদি প্রতিদিন সঠিক মাত্রায় ওটসমিল নিতে থাকেন তাহলে তা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে একটি ভালো উপায়।

ওটসে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন আর মিনারেল থাকে সঙ্গে ম্যাঙ্গানিজও থাকে তা আমাদের হাঁড়ের পক্ষে খুবই লাভদায়ক। বেশিরভাগ আমরা দেখে থাকি যে একটু বয়েস হবার সাথে সাথে পুষ্টির অভাবে আমাদের হাঁড়ের স্বাস্থ্য খুব কমজোর হতে থাকে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন খাবার রুটিনে ওটসমিল সামিল করে নেন তাহলে আপনার হাঁড়ের ক্ষয়রোগ রোধ করা অনেকটাই সম্ভব হবে।যার ফলে আপনি অনেক বয়েস অবধি সুস্থও থাকতে পারবেন। ওটস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। তাই নাস্তা হিসেবে আমরাও এই খাবারটিকে বেছে নিতে পারি।

Leave a Comment