আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে বাচ্চাদের একটি কমন রোগ ক্রিমের সংক্রামক সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন আসলে এই রোগটি কেন হয় এবং কৃমি নামক রোগের আক্রমণে বাচ্চাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে। ছোট বাচ্চাদের শরীর অনেক সেনসিটিভ তাই বাচ্চাদের ঔষধ খাওয়ানোর আগে অবশ্যই সেটা সম্পর্কে ইনফরমেশন নিয়ে তারপর সেটা খাওয়াবেন। কারণ একজন বাচ্চাকে যেকোনো ওষুধ খাওয়ানো যাবে না এতে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় বাচ্চার মৃত্যু পর্যন্ত করতে পারে।
এক বছরের আগে বাচ্চাকে কোন রকমের ঔষধ খাওয়ানো উচিত নয়। যদি অতি জটিল অবস্থা দেখা দেয় তাহলে শিশু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের শিশুকে ঔষধ সেবন করাবেন। ক্রিমি নামক মারাত্মক ব্যাধির আক্রমণে বাচ্চাদের ইমিউনিটি নষ্ট হয়ে যায়। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। শিশুর বৃদ্ধিতে বাধা ঘটায়। এক বছরের বাচ্চাকে ক্রিমের ঔষধ খাওয়ানো যায়। কিন্তু সেটা অবশ্যই শিশু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। আজকে আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করব কৃমি থেকে কিভাবে প্রতিকার পাওয়া যায় এবং আপনার বাচ্চাকে কিভাবে এই রোগ থেকে দূরে রাখতে পারবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
বাজার থেকে আনা শাক সবজি মাছ মাংস ঠিক ভাবে না ধুয়ে খেলে বা অর্ধ সিদ্ধ খাবার খেলে কৃমির সংক্রামন হতে পারে। সাধারণত মাটি বা পানি থেকে কৃমির ডিম বা লার্ভা বাচ্চা বা বড় মানুষের হাত বা পায়ে লেগে যায়। কিছু সময় এসব লার্ভা হাত থেকে মুখের মাধ্যমে অন্ত্র চলে যায়। কিছু ক্ষেত্রে এসব লার্ভা স্কিন ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করে।আজকে আমরা কৃমি নামক একটি ব্যাধির প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের সামনে রচনা করব। বিশেষ করে বাচ্চাদের বেশি এই রোগ হয়ে থাকে। সতর্কতায় পারে এই রোগ থেকে বাঁচাতে। কৃমির সংক্রামণ রোধে কি ব্যবস্থা নিবেন?
নখ বড় রাখা যাবে না। বাসার গৃহপরিচারিকার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন। ২-৩ দিন পর পর জীবানু নাশক দিয়ে বাসার ফ্লোর পরিষ্কার করবেন। শিশুকে খালি পায়ে না রাখা উত্তম।শিশু যেন ময়লা অবর্জনা পরিহার করে খেলাধুলা করে।
খালি মাটিতে খেলা পরিহার করুন।খাবার আগে এবং টয়লেটের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। পানি ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে ব্যবহার করুন। এভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার মাধ্যমে কৃমির সংক্রামক থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
১ বছরের আগে বাচ্চাকে কৃমির ঔষধ দেয়া যাবে না। কিন্তু ১ বছর হয়ে গেলে নিয়মিত ৬ মাস অন্তর অন্তর বাচ্চাকে কৃমির ঔষধ অবশ্যই দিবেন। একবার ঔষধ খাওয়ানোর ৭-১০ দিন পর পুনরায় প্রাথমিক ডোজ দিতে হবে। কৃমির ঔষধ কৃমিকে মেরে ফেলে কিন্তু কৃমির ডিম এবং লার্ভা মারতে পারে না। তাই ৬ মাস পর পর বাচ্চাকে কৃমির ঔষধ অবশ্যই দিতে হবে। কৃমি একজনের কাছ থেকে অন্যজনের কাছে ছড়ায় বিধায় পরিবারের সকলে একসাথে কৃমির ঔষধ খাবেন।
অনেক সময় শিশুদের মধ্যে পেট ব্যাথার সমস্যা তীব্র হয়ে ওঠে। শিশুদের পেটে কৃমি হওয়া খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। প্রায় সব বাচ্চার মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যায়। সময়ে ব্যবস্থা না হলে পেটে কৃমি থাকলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কৃমি এক ধরনের পরজীবী যা সাধারণত শিশুদের অন্ত্রে বসবাস করে এবং বাচ্চাদের খাদ্য থেকে পুষ্টি অর্জন করে।
শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফিতাকৃমি বা সুতোকৃমির সংক্রমণ। ফিতাকৃমিকে চ্যাপ্টাকৃমিও বলা হয়। সাধারণত দূষিত খাবারের মাধ্যমে তাদের ডিম বা লার্ভা শিশুদের পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। আবার সুতাকৃমিকে কুঁচোকৃমিও বলা হয়। তারা ক্ষুদ্র, পাতলা, সাদা এবং সর্বদা নড়াচড়া করে। এই কৃমি মলদ্বারে বসবাস করে এবং স্ত্রী কৃমি মলদ্বারের আশেপাশে ডিম পাড়ে। সুতাকৃমির সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।অনেক সময় শিশুর কৃমি সংক্রমণের কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। সংক্রমণ খুব হালকা হতে পারে সুতরাং উপেক্ষা করা হয়। আশা করি আপনারা এই সকল ইনফরমেশন পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। শিশু দের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে চাইলে আপনারা সার্চ করে সেটা জেনে নিতে পারেন।