বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এই ইসলামী ব্যাংক। দীর্ঘ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা সম্পূর্ণ ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আপনারা জেনে যাবেন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। আমরা যারা কোনদিন একাউন্ট খুলিনি বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের মানুষজন যারা এসব ব্যাংকিং এবং একাউন্ট সম্পর্কে বেশি জ্ঞান রাখেনা। তারা যখন নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে যায় তখন তাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানা প্রয়োজন।
যেমন ,,,
একটি ব্যাংকিং একাউন্ট এ কি কি সুবিধা থাকে।
একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন পড়ে।
একটি ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে সর্বনিম্ন কত টাকা লাগে।
একাউন্টে সর্বনিম্ন কত টাকা জমা করা যায়।
একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্ট এবং কোন কোন ফরমালিটি গুলো পূরণ করতে হয়।
এই সকল তথ্য নিয়েই আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। ব্যাংকিং এবং বীমা এই দুইটি সম্পর্কে আমাদের এখন জানা উচিত। শুধু শহরাঞ্চলের মানুষই নাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ রাও এখন ব্যাংকিং সেবা পেতে পারে খুব সহজে। এবং ব্যাংক সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানতে নিজের মোবাইল ফোনটা ব্যবহার করে নিতে পারে।
সবার কমন একটি প্রশ্ন যে একটি নতুন ব্যাংকিং একাউন্ট করতে সর্বনিম্ন কত টাকা লাগে?
শুধু ইসলামী ব্যাংক নয় যে কোন ব্যাংকেই একাউন্ট খুলতে সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা লাগে।
কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং আরো অনেক বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে যেগুলোতে ৫০০ টাকা অথবা তার কম টাকাও লাগতে পারে একাউন্ট ওপেন করতে।
কমপক্ষে ১০০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে। ২ কপি সত্যায়িত করা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। একাউন্ট হোল্ডারের এনআইডি কার্ড/পাসপোর্ট /চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট। একাউন্ট হোল্ডার দ্বারা সত্যায়িত করা নমিনির ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ইসলামী ব্যাংক কারেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম।
কমপক্ষে ১০০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে।
২ কপি সত্যায়িত করা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
একাউন্ট হোল্ডারের এনআইডি কার্ড/পাসপোর্ট /চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।
একাউন্ট হোল্ডার দ্বারা সত্যায়িত করা নমিনির ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
নমিনির এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
একাউন্ট হোল্ডারের স্বাক্ষর।
দেশে গ্রাহক জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। এর অন্যতম কারণ সব ধরনের আধুনিক সেবা সহ ১০০ ভাগ গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করা। এজন্য ইসলাম ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চেয়ে থাকেন। যারা ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন আজকের পোস্টটি তাদের জন্য।
শুরু থেকে এই পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকদের যে ধরনের সেবা দিয়ে আসছে তা ছুয়ে গেছে গ্রাহকদের মনে। যার প্রেক্ষিতে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন একাউন্ট খুলে থাকে ইসলামী ব্যাংকে। ইসলামী ব্যাংক একাউনট খোলা এখন একদম সহজ।
আজকে আমরা জানবো ইসলামী ব্যাংকে সাধারণত কয় ধরনের একাউন্ট খোলা যায় এবং কি কি একাউন্ট খোলা যায়। কোন ধরনের একাউন্ট খুলতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় এবং কত টাকা দিতে হয়। কোন প্রসেসে খুলতে হয় ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট। চলুন জেনে নেওয়া যাক সব ভাবে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
ইসলামী ব্যাংকে সাধারণত ৩ ধরনের একাউন্ট খোলা যায়। এই তিন ধরনের একাউন্টের মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় একাউন্ট খুলতে পারবেন খুব সহজে। জেনে নেওয়া যাক তিন ধরনের একাউন্টের নাম যা ইসলামী ব্যাংকে খোলা যায়।
১) সেভিংস একাউন্ট।
২) কারেন্ট/ নিয়মিত একাউন্ট।
৩) স্টুডেন্ট একাউন্ট।
শুধু ইসলামী ব্যাংকই নয় যে কোন ব্যাংকে যদি আপনি একাউন্ট খুলতে চান তাহলে এই বেসিক নিয়ম গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এবং সকল ফরমালিটি গুলো আপনাকে পূরণ করতে হবে। কারণ এখন সবকিছু ইন্টারনেট ব্যবহার করলে বায়োডাটা সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশে আরও সকল বেসরকারি অনেক ব্যাংক রয়েছে যেগুলো ইসলামী ব্যাংকের আওতায় চলে এসেছে।
যেমন স্ট্যান্ডার ব্যাংক, সিটি ব্যাংক সহ আরও বিভিন্ন ব্যাংক গুলো কিন্তু বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের আওতায়। এই সকল ব্যাংকগুলোতেও ইসলামী ব্যাংকের সেবা পাওয়া সম্ভব। সারা বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকের প্রচুর শাখা রয়েছে। আপনি আপনার নিকটবর্তী ইসলামী ব্যাংকটিতে একাউন্ট খোলার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।