মানুষ আস্তে আস্তে যত আধুনিক এবং সভ্যতা অর্জন করেছে তাদের মেধার বিকাশ ততই ঘটিয়ে চলেছে। মানুষের জীবন যাত্রার মান যত উন্নত হয়েছে মানুষ তখন থেকে আরও বেশি কিভাবে সুবিধা পাওয়া যায় এবং প্রত্যেকটি সিস্টেমকে আরও সহজ করার বিষয়টি তারা ভেবেছে। এক সময় মানুষ ধন সম্পদ অর্জন করে সেটি নিজের বাড়িতে রেখে দিত এবং সেই সময় বিভিন্ন ধরনের দস্যু ডাকাত দল অথবা চোরের দল চুরিও করে নিয়েছে বারবার।
বারবার এরকম ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পর মানুষকে একেবারে নিঃস্ব হতে হয়েছে রাতারাতি। কিন্তু মানুষ যেহেতু আস্তে আস্তে এই চিন্তা ভাবনা করেছে যে কিভাবে মানুষের অর্থ সম্পদ আরো নিরাপত্তার সহিত রাখা যায়। এ কারণে মানুষ যত ভাবতে থাকে ততই তারা উন্নতি করতে থাকে এবং নতুন নতুন সিস্টেম বা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে থাকে। তাই দেখা যায় যে ব্যাংকিং সিস্টেমের প্রথম আসলে কবে থেকে শুরু হয়েছিল তা বিষয়টা খুবই স্পষ্ট নয়।
তবে মনে করা হয় যে 1400 সাল থেকে ব্যাংক ব্যবস্থার আধুনিক যুগের সূচনা শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ 1401 সালে “ব্যাঙ্ক অফ বার্সেলোনা” প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই মনে করা হয় আধুনিক ব্যাংকিং সিস্টেম চালু হল। ব্যাঙ্ক অফ বার্সিলোনাকেই বিশ্বের সর্বপ্রথম আধুনিক ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রচুর ব্যাংক গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ দুই তিন দশক আগেও দেখা যায় যে বাংলাদেশের সকল মানুষ ব্যাংকিং সিস্টেমের মধ্যে ছিল না।
কিন্তু মনে করা হয় বিভিন্ন জরিপ দেখে প্রায় সকল মানুষ ব্যাংকিং সিস্টেমের আওতায় রয়েছে। অর্থাৎ এনজিওগুলো যেহেতু ব্যাংকিং সিস্টেমে কাজ করে থাকে এ কারণে এই ধারণা করা হয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখান থেকে জানতে এসেছেন যে, কোন ব্যাংকে ডিপিএস এ লাভ বেশি সেই কথাটি জানার জন্য।
বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং ব্যবসাতে প্রচুর পরিমাণে প্রতিযোগিতা গড়ে উঠেছে। তবে প্রতিযোগিতা গড়ে উঠলেও বাংলাদেশ সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ব্যাংক হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশের সম্পূর্ণ ব্যাংকিং সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এইজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্যই প্রত্যেক ব্যাংকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সুদের হার সেটি গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এবং ব্যাংকদের ক্ষেত্রে বেধে দিয়েছে। অর্থাৎ গ্রাহকরা যদি ঋণ নিয়ে থাকে ব্যাংক থেকে তাহলে সর্বোচ্চ কত পার্সেন্ট তারা নিতে পারবে
এবং গ্রাহকরা যদি ব্যাংকে টাকা রেখে থাকে তাহলে তারা সর্বোচ্চ কত টাকা রাখতে পারবে বা সর্বোচ্চ কত টাকা তারা সুদ দিতে পারবে এবং সর্বনিম্ন কত টাকা দিতে পারবে সেই বিষয়টি তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে। এই কারণে দেখা যায় যে মোটামুটি ভাবে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেমগুলো যে সকল প্রতিষ্ঠানে রয়েছে সকল ব্যাংকিং সিস্টেমগুলোই বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাধীন বা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন সেই সুদের হার কেই নির্দেশ করে থাকে। তারপরেও সেইখান থেকেই বেসরকারি ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যত পরিমান সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় সে বিষয়ে অবশ্যই সচেষ্ট রয়েছে।
আর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্র ব্যাংকগুলো মোটামুটি ভাবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মতোই আকর্ষণীয় রেটে টাকা জমা করে থাকেন এবং ঋণ দিয়ে থাকেন। মোটামুটি ভাবে আমরা বলতে পারি যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ডিপিএস এর সুদের হার বেশি দিয়ে থাকেন। আবার অপরদিকে দেখা যায় যে সরকারি ব্যাংকগুলো ডিপিএসের সুদের হার একটু কম হলেও তারা নিরাপত্তার সাথে আপনার টাকাকে গঠিত রাখবে। তাই আপনাকে অবশ্যই দুই দিক থেকে বিবেচনা করেই আপনার টাকা ডিপিএস করতে পারেন যেকোনো ব্যাংকের আন্ডারে।
তারপরেও আমরা এখন দেখব যে ডিপিএস এর সবচাইতে বেশি লাভ দেয় কোন ব্যাংক সেই বিষয়টি। কারণ যারা বেশি লাভ দেবে আমরা চেষ্টা করব সেই ব্যাংকেই টাকা রাখার বা ডিপিএস খোলার। চলো তাহলে আমরা দেখেনি যেসব ব্যাংকগুলো মুনাফার হার হার ডিপিএস এর সবচাইতে বেশি দিয়ে থাকে তাদের নাম গুলো। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস,স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড,ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড,ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।