ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ত

আপনারা যদি ইসরাকের নামাজ পড়ার নিয়ত সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে সে বিষয়ে আমরা এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি আপনারা যখন অন্যান্য নামাজগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে আদায় করতে চান অথবা এই নামাজগুলো আদায় করার মধ্য দিয়ে যখন মনের প্রশান্তি খুঁজে পান তখন অবশ্যই নামাজ পড়া উচিত। নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আপনি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সিজদায় যেতে পারছেন এবং আপনার মনের কথাগুলো খুলে বলতে পারছেন। তাই নামাজ পড়ার মাধ্যমে নিজের জীবনকে ভালো একটা স্থানে পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে বলে অবশ্যই আপনারা নিয়মিত নামাজ পড়বেন।

অনেকে আছেন নামাজ পড়তে চান কিন্তু নামাজের নিয়ত ঠিকমতো জানেন না। নামাজ শিক্ষার বইগুলোতে বিভিন্ন নামাজের নিয়ম উল্লেখ করা থাকে। তাই আপনারা যখন নামাজ আদায় করতে চাইবেন তখন প্রত্যেক নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হবে সেটা জেনে নিয়ে নামাজ আদায় করা শিখবেন। কারণ আপনার নিয়ত যদি শুদ্ধ না হয় অথবা নিয়তের মাধ্যমে যদি আপনি নামাজ না আদায় না করেন তাহলে কোন উদ্দেশ্যে আদায় করছেন সেটা স্পষ্ট হবে না।

তাই নামাজের নিয়ত নিয়ে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরনের নামাজ শিক্ষা সংক্রান্ত বই কিনতে পাওয়া যায় অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এগুলো জেনে নেওয়া যায়। আর এই ক্ষেত্রে আপনারা যখন আরবীতে অথবা বাংলায় ইসরাকের নামাজ আদায় করার নিয়ম জানতে চাইবেন তখন আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই সেটা জানিয়ে দেবো। আর যখন আপনি কোন নামাজ আদায় করবেন এবং নিয়ত নিয়ে আদায় করবেন তখন কোন উদ্দেশ্যে আদায় করছেন তা আপনার মনের ভেতর থেকে এক অন্য ধরনের আগ্রহ নিয়ে আল্লাহপাকের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আমাদের ভেতরে অনেকেই আছে যারা ফজরের নামাজ শেষ করে নিষিদ্ধ সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইশরাকের নামাজ আদায় করেন। নিয়ম অনুযায়ী দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত নামাজ আদায় করার সুযোগ রয়েছে এবং এই নামাজ অন্যান্য নফল নামাজের মত করেই আদায় করতে হয়। তাই যখন ইসরাকের নামাজ আদায় করবেন তখন অবশ্যই নফল নামাজের উদ্দেশ্যে এটি আদায় করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে কি বলে নিয়ত করতে হবে তা যদি জানা থাকে তাহলে আপনাদের জন্য হয়তো এটা অনেক ভালো হবে। ইসরাকের নামাজ আদায় করতে পারলে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটা এবাদত সম্পন্ন করতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে ফজিলতের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি যে ইসরাকের নামাজ আদায় করতে পারলে একটি হজ এবং ওমরা হজের সোয়াব প্রদান করা হয়ে থাকে। তাছাড়া মহান আল্লাহ পাক সারা দিন সেই ব্যক্তিকে রহমতের দিক থেকে সাহায্য করে থাকেন এবং জান্নাতে 70 টি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। তাই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত হওয়ার কারণে যখন আপনারা এই নামাজ আদায় করবেন তখন অবশ্যই মনোযোগের সঙ্গে এবং অনুগ্রহের সাথে আদায় করবেন এবং মনের কথাগুলো আল্লাহ পাকের কাছে খুলে বলবেন। ফজর নামাজের পরে না ঘুমিয়ে আপনারা বিভিন্ন ধরনের আমল করবেন এবং সেটা করার পরে ইসরাকের নামাজ আদায় করে দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজ করার প্রয়োজন সেগুলোতে অংশগ্রহণ করবেন।

তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা ইসরাকের নামাজ আদায় করার বিষয় জানতে পারলেন এবং নিয়ত আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সেটা জেনে নিয়ে আপনারা নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্রত্যেকটা ব্যক্তির জীবনে নামাজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং আমরা যেহেতু মুসলিম সেহেতু এই বাধ্যতামূলক ইবাদত থেকে কখনোই নিজেদেরকে বঞ্চিত করব না। আপনি যেমন নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছেন অথবা খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই পৃথিবীর বুকে শক্তি সঞ্চয় করে চলাফেরা করছেন তেমনি ভাবে নামাজ আপনাদের জন্য ফরজ ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তাই কোনভাবেই নামাজ ছেড়ে দেওয়া যাবে না এবং নামাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়ে গেলে দেখবেন যে প্রত্যেক নামাজের মধ্যে আপনি শান্তি খুঁজে পাচ্ছেন। তাই যেখানেই থাকুন অথবা যে পরিস্থিতিতে যাই থাকুন শরীর এবং কাপড় পবিত্র থাকলে অবশ্যই দুই রাকাত নামাজ বেশি আদায় করার চেষ্টা করবেন। কারণ এই নামাজ হলো আপনার জান্নাতের চাবিকাঠি এবং নামাজের মধ্য দিয়ে আপনারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন।

Leave a Comment