গলায় যদি ঠান্ডা না লাগে অথবা বাতাসের মাধ্যমে আপনার গলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে গলা বসবে না। হঠাৎ করে কোন ধরনের আবহাওয়া যদি পরিবর্তন হয়ে যায় অথবা আমরা যদি গলায় কোন কারণে অতিরিক্ত বাতাস লাগিয়ে থাকি তাহলে অত্যন্ত সেনসিটিভ জায়গা হিসেবে সেটা বসে যাই অথবা কাশি থেকে শুরু করে গলায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে যাই হোক গলা যদি বসে গিয়ে থাকে তাহলে গলা বসে যাওয়ার ওষুধ প্রসঙ্গে এখানে আলোচনা করা হবে। তাই গলা বসে যাওয়ার কারণে যারা কথা বলতে সমস্যা মনে করছেন অথবা কথা বের হচ্ছে না তাদের জন্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করা হলো।
যেহেতু কথা বলার সময় আমাদের গলা দিয়ে স্বর বের হয় অথবা আওয়াজ বের হয় সেহেতু গলার যত্ন নিতে হবে। অনেকে দেখা যায় গলার অবস্থা খারাপ থাকা সত্ত্বেও ঠান্ডা জাতীয় জিনিস যথা আইসক্রিম অথবা কোলড্রিংস খেয়ে থাকেন। যেহেতু আপনার গলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় সেহেতু এই খাওয়ার সময় আপনারা যদি এ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয়। বিশেষ করে শীতকালে যখন মানুষের গলা বসে যায় তখন অবশ্যই তাদেরকে পরিমিত পরিমাণে গরম পানি খাওয়ার পাশাপাশি বিশেষ ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারলে সমাধান হয়ে যাবে।
গলা যদি বসে যাই অথবা গলায় যদি প্রচন্ড পরিমানে ব্যথা হয় তাহলে আমাদেরকে প্রতিবেলা অথবা প্রতিটা সময় কুসুম গরম পানি খেতে হবে। তবে পানির গরমের পরিমাণ যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনার বুকের ভেতরে যে সকল কফ জমা আছে সেগুলো আরো গাঢ় হবে এবং কফ বের হতে সমস্যা হবে। তাই গরম পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা খুব বেশি গরম নয় বরং কুসুম গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়া আপনারা যদি গলা ব্যাথার সময় লবঙ্গ লবণ আদা দিয়ে পানি গরম করে সেটার ধোয়া নাকের ভেতর দিয়ে এবং গলার ভেতর দিয়ে টেনে নিতে পারেন তাহলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
যেহেতু আপনার গলা বসা থেকে ভালো অবস্থায় নিয়ে আসা উচিত সেহেতু এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা গুলো চালিয়ে যেতে হবে এবং আস্তে আস্তে উন্নতি পাবেন। অতিরিক্ত ব্যাথা হলে আপনারা লবণ এবং পানি পাঁচ মিনিটের মত ফুটিয়ে নেওয়ার পরে সেটা আস্তে আস্তে ঠান্ডা হলে আপনার গলাতে যতটুকু শেক দেওয়ার প্রয়োজন অর্থাৎ যতটুকু মুখে নিয়ে রাখতে পারবেন ঠিক ততটুকু গরম অবস্থায় নিয়ে গার্গল করতে থাকুন।
গলা বসে যাওয়ার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে যারা হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপরে ভরসা করেন অথবা বাড়ির পাশে যাদের হোমিওপ্যাথি চেম্বার রয়েছে তারা সেখান থেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করেও গলা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে এই পোষ্টের মাধ্যমে যারা হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারেরা কখনোই ওষুধের নাম বলে না বলে আমরা এগুলো জানতে পারি না। তাই গলা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধ অনেক সময় কাজে আসতে পারে।
ঠান্ডা লেগে গলা বসে গেলে কি করতে হবে
ঠান্ডা লেগে গলা যদি বসে যাই তাহলে গলায় একটু নরম ধরনের কাপড় সবসময় জড়িয়ে রাখতে হবে। গরমকাল হলেও যতটা পারেন গলার সঙ্গে নরম কাপড় জড়িয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। ফ্যানের বাতাস খেলেও গলায় যেন কাপড় থাকে এ বিষয়টা নিশ্চিত করে রাখবেন যাতে করে সারা শরীরে বাতাস লাগলেও গলাতে বাতাস না লাগে। তাছাড়া গরম পানি খাওয়ার পাশাপাশি গরম পানি দিয়ে যদি গার্গল করা যায় তাহলে গলা বসে যাওয়া থেকে আস্তে আস্তে ভালো পর্যায়ে চলে আসবে।
গলার আওয়াজ ভালো করার উপায়
আপনার কণ্ঠস্বর অথবা গলার আওয়াজ যেমনই হয়ে থাকুক না কেন ভালো পর্যায়ে আনতে হলে গলার যত্ন নিতে হবে। গলা যেন কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য আমাদেরকে ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খাবার থেকে সর্ব প্রথমে বিরত থাকতে হবে। ন্যাচারাল যে ঠান্ডা বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতেই যদি আপনার সমস্যা হয়ে যায় তাহলে ফ্রোজেন খাবারের তো আরো বেশি সমস্যা হবে। তাই হিমায়িত কোন ধরনের খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং নিয়ম করে গার্গল করলে আশা করি আপনাদের গলা স্পষ্ট হবে এবং আপনি সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারবেন।