গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকে অথবা সেই নারী যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে। এর মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে পানি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যান্য খাদ্য কথাটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা নির্ভর করে। সাধারণত একজন নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন কয়েক মাস যেতে না যেতেই তার শরীরে নতুন করে পানির সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ বাচ্চা যখন ভ্রূণ থেকে আস্তে আস্তে নির্দিষ্ট একটা অবয়বে চলে আসে তখন সেটাকে ভেসে থাকার জন্য এই পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে যদি পানি সংক্রান্ত সমস্যা হয় অথবা পানি যদি কম থাকে তাহলে সেই বাচ্চা শরীরের ভেতরে ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারে না অথবা বাচ্চার অনেক ক্ষতি হয়। তাই আপনি যখন এ বিষয়ে এটা বুঝতে পারছেন তখন অবশ্যই গর্ভ অবস্থায় নারীর শরীরে পানির পরিমাণ ঠিকঠাক রাখার জন্য খাদ্য অভ্যাস ঠিকঠাক রাখতে হবে। সেই সাথে অন্যান্য সময়ের মত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে যাতে করে এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সকল দিক থেকে পরিচালিত হয়।
অন্যান্য সময়ের চাইতে একজন নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসে। এ সকল ক্ষেত্রে একজন নারী বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতার কারণে অথবা মানসিকভাবে দুর্বলতার কারণে তাদের স্বাস্থ্য হানি ঘটে অথবা খাবার দাবারের দিক থেকে তাদের রুচি একেবারে উঠে যায়। তাই একজন নারী হিসেবে এই সময়গুলো তাদের অত্যন্ত কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করতে হয় এবং এই সময়গুলো তাদেরকে অত্যন্ত ধৈর্যের মুখোমুখি হয়তো হয়।
অধিকাংশ নারী এ সময় খেতে পারে না এবং কিছু কিছু নারী আছে যারা ঠিকঠাক মত খেতে পারে। তবে খাবারের ব্যাপারে রুচি না থাকলেও পেটের সন্তানের সঠিকভাবে বৃদ্ধি করার জন্য অথবা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ছেলে মেয়ে হওয়ার জন্য আপনাদেরকে ঠিকঠাক মত খেতে হবে। খাবার হজমের জন্য অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার নির্বাচন করতে হবে যেগুলো একজন নারীর জন্য উপকারী এবং পেটের সন্তানের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে খাবার যাতে ঠিকঠাক মত হজম হয় তার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় পানি কমে গেলে করণীয়
সাধারণত একজন নারীর যখন আট মাস পার হয় তখন তার শরীরে নতুন করে আর পানি সৃষ্টি হয় না। তার এত দিনের খাবার দাবার এবং পানি গ্রহণের ফলে যে পানি শরীরের মধ্যে থাকে সেটা আট মাসের পরে আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে। তাই গর্ভাবস্থায় যদি শরীর থেকে পানি কমে যায় তাহলে সেই পানি কমে যাওয়ার কারণে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চা নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে পানি কমতির কারণে হয় না অথবা সে পানি যদি বেরিয়ে যায় তাহলে বাচ্চা তখন সিজার করে ডেলিভারি করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় পানি কমে যায় কেন
প্রাকৃতিক নিয়মে অথবা শারীরিক অবস্থার কারণে হক ৮ মাসের পর থেকে শরীরের পানি নতুন করে তৈরি হয় না। বরং শরীরে এতদিন যে পরিমাণ পানি ছিল তা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে এবং এই পানি আস্তে আস্তে শুকোতে শুরু করলে বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হবে। নারীদের শরীরে যদি অন্যান্য সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই সমস্যার কারণে গর্ভাবস্থায় পানি কমে যায়।
গর্ভাবস্থায় পানি খাওয়ার নিয়ম
অন্যান্য সময় যেমন আপনারা প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করেন তেমনিভাবে গর্ভ অবস্থায় তিন লিটার করে পানি পান করলেই খুব ভালো হবে। এক্ষেত্রে পানি পান করার বিষয়ে আলাদা কোন নিয়ম নেই এবং খাবার গ্রহণের পর পানি পান করার মধ্য দিয়ে সেই খাবার হজম হতে সাহায্য করবে। তাই আপনাদেরকে এখানে যেহেতু আমরা এ বিষয়গুলো জানিয়ে দিতে পারছি সেহেতু আপনারা এগুলো স্পষ্টভাবে বুঝে নিতে পারছেন। গর্ভাবস্থায় ক্রিটিকাল সিচুয়েশনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য আপনারা প্রশ্ন করলে অবশ্যই আমরা সেগুলো জানিয়ে দিতে চেষ্টা করব।