প্রত্যেকটি ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। এছাড়াও আমরা যদি সেই ঔষধ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খায় তাহলে সেটা আমাদের শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। শুরুতেই একটি ছোট্ট উদাহরণের মাধ্যমে আমরা সেটা আপনাদের বোঝাচ্ছি মনে করুন আপনার জ্বর এসেছে কিন্তু আপনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্যারাসিটামল ওষুধ খেলেন। আরেকটা বিষয় প্রায়ই হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে জ্বর আসা আর জ্বর মেপে দেখার মধ্যে বিশাল পার্থক্য থাকে অর্থাৎ আপনি না মেপে জ্বর এসেছে মনে করে প্রচুর ঔষধ খেলেন কিন্তু সেই প্যারাসিটামল ও আপনার শরীরের জন্য ক্ষতি নিয়ে আসতে পারে সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
তাই আমাদের প্রত্যেকটা ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ এবং সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। আর এই নির্দেশনা অবশ্যই আপনাকে একজন রেজিস্টার পত্র চিকিৎসকই দিতে পারেন তাই অবশ্যই তার পরামর্শ নিয়ে আপনাকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকে ঔষধে রয়েছে আলালালদা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিন্তু আমরা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি আপনাদের অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবা আশা করছি আপনারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকবেন। যাতে করে এই ওষুধের সঠিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং ওষুধ বেশি খাওয়ার কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে এই বিষয়ে আপনাদের আমরা দিকনির্দেশনা দিতে পারি।
ভিটামিন বি১২ ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণত ভিটামিন বি ১২ ঔষধের যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে সেই বাসক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোন ধারণা নেই। বি১২ যেই ভিটামিনের কম্বিনেশনে তৈরি হয় প্রায় একই ধর্মের ভিটামিন টা এখানে তিনটা ওষুধের সমন্বয়ে যে ট্যাবলেটটি আমরা খায় সেটা সাধারণত কিছু পাস ও প্রতিক্রিয়া ছেড়ে যায় । সাধারণত প্রথমত যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে সেটা হচ্ছে এলার্জিক রিঅ্যাকশন এছাড়া অনেকের হালকা মাথা ব্যথা বা হালকা পেট ব্যথার মতন সমস্যা হতে পারে ।
ইদানিং কালে যে সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গুরুতর কোন সমস্যা দেখা যাচ্ছে কিনা বা গুরুতর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কিনা। এগুলো একেবারে স্বাভাবিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যার কারণে কোন ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নাই। তারপরও যদি আপনার মনে কোন সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া শুরু করেছেন তার সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন এই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে।
ভিটামিন বি১২ ট্যাবলেট এর ক্ষতিকারক দিক
এটা ট্যাবলেট যদি অতিরিক্ত আমরা খেয়ে থাকি বা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে অবশ্যই আমরা আপনাদের জানাবো। মনে করুন আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি আছে কিন্তু আপনি খাবারের মাধ্যমে সে ভিটামিন পরিপূর্ণভাবে পাচ্ছেন না বিকল্প হিসেবে ঔষধ খাওয়া শুরু করেছেন। ঔষধ খেতে খেতে আপনি এত পরিমাণ ভিটামিন খেয়ে ফেলেছেন যে হঠাৎ করে দেখছেন আপনার শরীরের ওজন অনেক বেড়ে গেছে এবং আপনি আগে থেকে অনেক বেশি মোটা হয়ে গেছেন।সেটা অবশ্যই আপনার শরীরের জন্য ভালো কিছু না তাই এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে এবং প্রত্যেকটি ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে তারপর সেটা বন্ধ করে দিতে হবে।
এই ট্যাবলেট যদি আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় খান তাহলে স্বাভাবিকভাবেই পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্যের মতন সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়াও পেটে অতিরিক্ত ব্যথা অথবা বমি ভাব বা বমি হওয়ার মতন সমস্যা তৈরি হতে পারে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে যোনিতে রক্তপাতের মতন সমস্যা তৈরি হতে পারে। এর পাশাপাশি চামড়ায় ফুসকুড়ি অতিরিক্ত হতে পারে। পুরো চামড়ায় লাল লাল ভাবে সৃষ্টি হতে পারে।
মাথা ঘোরা থেকে শুরু করে হঠাৎ করে শরীর অতিরিক্ত দুর্বল অনেক শীত শীতলা ভাব লাগা তো অনেকের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে অতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহারের ফলে।