ছেলেরা অতিরিক্ত পরিশ্রম করে এবং ছেলেদের চুল তাড়াতাড়ি ড্রাই হয়ে যায়। ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় বেশি বাড়ির বাইরে থাকে এবং ছেলেদের চুল তাড়াতাড়ি দূষিত হয়ে যায়। ছেলেদের মাথার চামড়া অনেক হাড় থাকে এজন্য ছেলেদের চুলের যত্নে সবচাইতে বেশি প্রয়োজন হলে নিয়মিত তেল দিয়ে চুলের গোড়া মেসেজ করা। নিয়মিত তেল দিয়ে মাথায় মেসেজ করলে মাথার রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে। এবং ছেলেদের স্কিন মেয়েদের তুলনায় বেশি ড্রাই থাকায় ছেলেদের মাথায় বেশি তেল লাগাতে হয়।
অনেকের প্রশ্ন থাকে যে ছেলেদের জন্য কোন হেয়ার অয়েল টি ভালো হবে?এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি যে ভেজালমুক্ত নারকেল তেল চুলের জন্য ভালো। এছাড়াও মেথির তেল চুলের জন্য খুবই ভালো। যেসব হেয়ার এলে মেথির গুণসমৃদ্ধ লেখা থাকে সেই হেয়ার অয়েলটি ব্যবহার করা চুলের জন্য ভালো। কারণ মেথিতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ চুলকে মোটা এবং স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে। তাই মেথি সমৃদ্ধ হেয়ার অয়েল চুলের জন্য উপকারী।
চুলের যত্নের ব্যাপারে সাধারণ যে ভুলটি সবচেয়ে বেশি করা হয় তা হলো, অতিরিক্ত পরিষ্কার করা। সপ্তাহে দুই বা তিনবার কিংবা এক দিন পরপর শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট। অন্যদিন পানি দিয়ে পরিষ্কার করলে চলবে। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে আর মাথার ত্বক প্রয়োজনীয় তেল হারাবে না।
ছেলেরা বেশিরভাগ সময় যে ভুলটি করে থাকে, তা হল চুলে অনেক সময় ধরে জেল হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করে। এতে সহজেই চুলে ময়লা ধুলোবালি আটকে যায়। এছাড়া লম্বা সময় ধরে জেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই দিনের বেলা যখন আপনার বাইরে কাজ করার সম্ভাবনা বেশি তখন জেল ব্যবহার করবেন না। আর যখনই জেল বা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করবেন চেষ্টা করবেন দ্রুত বাসায় ফিরে চুল ধুয়ে ফেলতে।
প্রচুর পানি পান করতে হবে হবে, চা-কফি, ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। সেলুনে অনেকে চুল কাটার পর জোরে জোরে মাথা ম্যাসেজ করিয়ে নেয়। এতে চুলের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়। এইসব করা যাবে না। আর পাঁচ মিনিটে করা যায় এরকম একটি চুলের ফ্যাশন বা স্টাইল বেছে নিতে হবে।অনেক ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়। অনেকে দেখা যায় বয়স ২০ না পেরোতেই মাথার অর্ধেকের বেশি চুল পেকে সাদা হয়ে গেছে অথবা মাথায় টাক পড়ে গেছে।
অনেক কারণে অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। আর পাকা চুল ও চুলে টাক পড়ার ব্যাপারে বংশগত ধারা একটি বিরাট কারণ। একবার চুল পাকতে শুরু করলে যদিও তার প্রতিকার করা যায় না। তবে হেয়ার ট্রিটমেন্ট চুল পাকা থেকে কিছুটা রোধ করে। চুল পাকা কমাতে হরীতকী, মেহেদিপাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে টনিক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এতে চুল পাকা কমে যেতে পারে। এছাড়া চুলের যত্নের জন্য জবা ফুল বাটা, গন্ধরাজ বাটা, আমলা বাটা একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল কালো ও উজ্জ্বল হয়।
প্রতিদিন নিজেকে একটু সময় দিলেই চুল পড়া, চুল পাকা, চুলে টাক পড়া, চুলের রাফনেস বা শুষ্কতা বেড়ে যাওয়া, খুশকির সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। সমস্যা শুধু বললেই হবে না, সমাধান পাওয়ার জন্য একটু কাজ তো করতেই হবে! অনেকের ভুল ধারণা থাকে যে চুলে সরষের তেল ব্যবহার করা ভালো না। কিন্তু সর্ষের গুন সমৃদ্ধ তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করা ছেলেদের চুলের জন্য উপকারী।
তাই আপনার যদি সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত চুলের সরষের তেল ব্যবহার করতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রে সর্ষের তেল ব্যবহার করলে ত্বক জ্বালাপোড়া করে এবং সরষের তেলের এক প্রকারের ঝাঁজ এবং গন্ধ থাকে যেটা সবাই সহ্য করতে পারে না। তাই আপনি যদি সহ্য করতে পারেন তাহলে সরিষার তেল ছেলেদের চুলের জন্য খুবই উপকারী।
আমরা জানতে পারলাম যে ছেলেদের চুলের জন্য তেল কতটা উপকারী। কোন তেল লাগালে ছেলেদের চুল ভালো থাকে সবকিছুই আমরা জানতে পেরেছি। চুলের যত্নে যাবতীয় টিপস সম্পর্কিত আমাদের এই পোস্টটি কেমন লাগলো নিশ্চয়ই আপনার আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না।