২৬ শে মার্চ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা দিবস। ২৬ শে মার্চে আমরা নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করি এবং বাঙালি নিজের ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারের কাছে উপস্থাপন করে। ২৬ শে মার্চে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস আপডেট দিই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে তাদের স্মরণ করি। ২৬ শে মার্চ এর নানা ধরনের ইডিট করা পিকচার গুলো এইসব পোস্ট শেয়ার করার সময় প্রয়োজন করে। এজন্য আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা ২৬ শে মার্চের সুন্দর সুন্দর পিকচার গুলো আপনাদের সামনে শেয়ার করব।
আপনি ডাউনলোড করে নিজের ফোনবুকে সেভ করে রাখতে পারবেন। শুধু পিকচারই নয় ২৬ শে মার্চের পিকচার গুলো শেয়ার করার সাথে সাথে ২৬ শে মার্চের তাৎপর্যয় তা, এবং ২৬ শে মার্চ সম্পর্কিত না যাবতীয় তথ্য সংক্ষেপে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। কারণ ২৬ শে মার্চ সম্পর্কিত যথার্থ তথ্য যদি আপনারা না জানেন তাহলে ২৬ শে মার্চে পোস্ট বা স্ট্যাটাস শেয়ার করতে আপনাদের অসুবিধা হবে। এজন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আশা করি আমাদের এই উপস্থাপনা আপনাদের অনেক উপকৃত করবে।
আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ভাবে গড়ে তুলবো। এজন্য বাঙালি জাতির জাতীয় দিবস গুলোর সম্পর্কে তাদের জানাবো। বাংলাদেশের ইতিহাস এবং সকল জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তা সম্পর্কে শিশুদের জানিয়ে তুলতে হবে। যেহেতু এখন ইন্টারনেট নির্ভর বাংলাদেশ তাই বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা আমাদের শিশুদেরকে বাঙালি জাতির ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে পারবো।
স্বাধীনতা দিবসের ছবি এবং স্বাধীনতা দিবসের কিছু প্রেক্ষাপট যদি বাচ্চাদের সামনে তুলে ধরেন তাহলে তারা বাংলা দেশের স্বাধীনতা এবং বাঙালি জাতির আত্মত্যাগের কাহিনী গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তারা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। এই আর্টিকেলে আমরা ২৬ শে মাসের প্রেক্ষাপট গুলো আলোচনা করব যেগুলো আপনি আপনাদের বাচ্চাদেরকে পড়িয়ে শোনাতে পারবেন। চলুন স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২৬ মার্চ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। ২৬ শে মার্চ বাংলা দেশের স্বাধীনতা দিবস। প্রতিবছর ছাব্বিশে মার্চ অনেক অনুষ্ঠানের সাথে পালন করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়, অনেক স্থানে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এমতাবস্থায় বাঙালিদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং অনেক স্থানেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা না করেই অনেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পরবর্তিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাবার পর আপামর বাঙালি জনতা পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং ভারতের অবিস্মরণীয় সমর্থনের ফলস্বরূপ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়।
অপারেশন সার্চলাইট ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা, যার মধ্যমে তারা ১৯৭১ এর মার্চ ও এর পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিল।এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাষকদের আদেশে পরিচালিত,যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত অপারেশন ব্লিটজ্ এর পরবর্তি অনুষঙ্গ। অপারেশনটির আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬ মার্চ এর মধ্যে সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন।২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।